সাইকেল চালিয়ে দুয়ারে হাজির মন্ত্রী : বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ে মিষ্টিমুখ

17th October 2021 9:25 pm বর্ধমান
সাইকেল চালিয়ে দুয়ারে হাজির মন্ত্রী : বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ে মিষ্টিমুখ


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  রাজ্যের সরকার এখন পৌছে যাচ্ছে আম জনতার দুয়ারে। তাই একই আঙ্গিকে নিজের বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারের বিজয়ার শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানানোর পন্থা নিলেন রাজ্যেরই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।সেই মতো রবিবার লালবাতি লাগানো গাড়ি ছেড়ে সাইকেলে চেপে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দক্ষিণ  বিধানসভার পাড়ায় পাড়ায় পৌছে গেলেন স্বপন বাবু । বয়স্কদের তিনি জানালেন শ্রদ্ধা ও প্রণাম ।ছোটদের জানালেন শুভেচ্ছা ।এমনকি   সবাইকে মিষ্টি মুখও করালেন । বিজয়ার শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে মন্ত্রী ডেঙ্গু ও করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচারও চালিয়ে যান ।বিলি করেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার । রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ একেবারে দুয়ারে হাজির হয়ে  বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে যাওয়ায় আপ্লুত পূর্বস্থলীর বাসিন্দারা । 
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হতেই গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে  বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা। তাই নিজের বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারে শুভেচ্ছা জানানোর কাজে পিছিয়ে থাকতে চাননি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।এদিন হ্যান্ড মাইক কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে  মন্ত্রী স্বপনবাবু পূর্বস্থলী ১ ব্লকের হেমাতপুর বারোয়ারিতলা,শ্রীরামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছে যান ।সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলিত হন ।সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা ,প্রণাম জানানোর পাশাপাশি সবার পরিবারের খোঁজ খবরও নেন । সাইকেলের সামনে খাঁচায় থাকা লাড্ডু মিষ্টি বের করে তিনি তাঁদের  সবার  হাতে তুলে দেন।  মন্ত্রী এদিন একেবারে দুয়ারে এসে  বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে যাওয়ায় যারপরনাই আপ্লুত  পূর্বস্থলীর বৃদ্ধা ধর্মবালা সিংহ,পরিতোষ বিশ্বাস প্রমুখরা । তাঁরা বলেন ,“ স্বপন দেবনাথ সারা বছরই নিজের বিধানসভা এলাকার 
প্রতিটি মানুষের খোঁজ খবর নেন ।এদিনও বিজয়ার শুভেচ্ছা,ভালোবাসা ও প্রণাম জানাতে তিনি সকলের দুয়ারে উপস্থিত হন।   রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়েও স্বপনবাবু এদিন  যে ভাবে এলাকার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাজির হয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা, প্রণাম জানালেন তা তাঁদের অভিভূত করেছে বলো মন্তব্য করেন বৃদ্ধা ধর্মবালা সিংহ। 
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান,একসময় পাঁয়ে হেঁটে মানুষের দরবারে তিনি যেতেন ।এখন বয়স হওয়ায় আর পায়ে হেঁটে  বেশীদূর আর যাতায়াত করতে পারে না। সেইকারণে ব্যাটারি চালিত একটি সাইকেলও কিনেছেন।সেই সাইকেলে চড়েই মানুষের কাছে তিনি পৌঁছে যান ।স্বপনবাবু জানালেন ,“এদিন গুরুজনদের বিজয়ার প্রণাম ও ছোটদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । সবার সঙ্গে একটু গল্প গুজবও করেছেন । পাশাপাশি করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা প্রচারও চালিয়েছেন।শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানানো কাজটা লক্ষ্মীপুজো,কালি পুজো,জগদ্ধাত্রী ও রাস উৎসব পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন বলে স্বপন দেবনাথ জানিয়েদেন “। 

 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।